
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত ছাড়





অন্ধ অনুসরণ কুফরী বা শিরক নয় কি? সারসংক্ষেপ কারো কথা, বক্তব্য, লেখা, অনুবাদ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি বিনা যাচাইয়ে মেনে নেওয়াকে অন্ধ অনুসরণ বলে। বর্তমান মুসলিম সমাজে অন্ধ অনুসরণ ব্যাপকভাবে চালু আছে। নিরক্ষর, সাধারণ শিক্ষিত, মাদ্রাসা শিক্ষিত সকল মুসলিমের মধ্যে এটি কম-বেশি বিদ্যমান। তবে এটি বিশেষভাবে চালু আছে বর্তমান ইসলামী শিক্ষায়। যে কুরআন হাতে নিয়ে মুসলিম জাতি জীবনের সকল দিকে অন্যসব জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিল সে কুরআন অপরিবর্তিত আছে, কিন্তু মুসলিম জাতি আজ জীবনের প্রায় সকল দিকে অন্যসব জাতির চেয়ে অবিশ্বাস্যরকম পিছিয়ে। এটি প্রমাণ করে মুসলিমদের মূল জ্ঞানে কোনোভাবে অনেক মৌলিক ভুল ঢুকেছে। অন্ধ অনুসরণ ঐ ভুলগুলোকে চালু রাখতে ব্যাপক সহায়তা করছে। যারা অন্ধ অনুসরণ চালু করেছেন তাদের একটি যুক্তি হলো- যাদের ইসলামের জ্ঞান নেই তাদের জন্য ইসলামের জ্ঞানী ব্যক্তিদের অন্ধ অনুসরণ করা যৌক্তিক ও কল্যাণকর। কিন্তু পৃথিবীতে নবী-রসূলগণ ছাড়া অন্য কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যদিকে ইসলামের বিষয়ে অন্যের উচ্চারিত ভুল কথা প্রাথমিকভাবে ধরতে পারার জন্য জ্ঞানের একটি উৎস মহান আল্লাহ সকল মানুষকে জন্মগতভাবে দিয়েছেন। সেটি হলো বোধশক্তি/Common sense/عَقْلٌ বা আল্লাহ প্রদত্ত সাধারণ জ্ঞান। তাই যার Common sense জাগ্রত আছে সে ইসলামের অনেক কিছু জানে। অন্ধ অনুসরণ সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে অনেক তথ্য আছে। সে সব তথ্যের আলোকে সহজেই বোঝা যায়- অন্ধ অনুসরণ করা অবস্থাভেদে শিরক অথবা কুফরীর গুনাহ। তাই ব্যক্তি ও জাতিকে অন্ধ অনুসরণের মহাক্ষতি থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে কুরআন ও হাদীসের সে তথ্যগুলো একটু গুছিয়ে পুস্তিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। অন্ধ অনুসরণ কুফরী বা শিরক নয় কি? সারসংক্ষেপ কারো কথা, বক্তব্য, লেখা, অনুবাদ, ব্যাখ্যা ইত্যাদি বিনা যাচাইয়ে মেনে নেওয়াকে অন্ধ অনুসরণ বলে। বর্তমান মুসলিম সমাজে অন্ধ অনুসরণ ব্যাপকভাবে চালু আছে। নিরক্ষর, সাধারণ শিক্ষিত, মাদ্রাসা শিক্ষিত সকল মুসলিমের মধ্যে এটি কম-বেশি বিদ্যমান। তবে এটি বিশেষভাবে চালু আছে বর্তমান ইসলামী শিক্ষায়। যে কুরআন হাতে নিয়ে মুসলিম জাতি জীবনের সকল দিকে অন্যসব জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ ছিল সে কুরআন অপরিবর্তিত আছে, কিন্তু মুসলিম জাতি আজ জীবনের প্রায় সকল দিকে অন্যসব জাতির চেয়ে অবিশ্বাস্যরকম পিছিয়ে। এটি প্রমাণ করে মুসলিমদের মূল জ্ঞানে কোনোভাবে অনেক মৌলিক ভুল ঢুকেছে। অন্ধ অনুসরণ ঐ ভুলগুলোকে চালু রাখতে ব্যাপক সহায়তা করছে। যারা অন্ধ অনুসরণ চালু করেছেন তাদের একটি যুক্তি হলো- যাদের ইসলামের জ্ঞান নেই তাদের জন্য ইসলামের জ্ঞানী ব্যক্তিদের অন্ধ অনুসরণ করা যৌক্তিক ও কল্যাণকর। কিন্তু পৃথিবীতে নবী-রসূলগণ ছাড়া অন্য কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যদিকে ইসলামের বিষয়ে অন্যের উচ্চারিত ভুল কথা প্রাথমিকভাবে ধরতে পারার জন্য জ্ঞানের একটি উৎস মহান আল্লাহ সকল মানুষকে জন্মগতভাবে দিয়েছেন। সেটি হলো বোধশক্তি/Common sense/عَقْلٌ বা আল্লাহ প্রদত্ত সাধারণ জ্ঞান। তাই যার Common sense জাগ্রত আছে সে ইসলামের অনেক কিছু জানে। অন্ধ অনুসরণ সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে অনেক তথ্য আছে। সে সব তথ্যের আলোকে সহজেই বোঝা যায়- অন্ধ অনুসরণ করা অবস্থাভেদে শিরক অথবা কুফরীর গুনাহ। তাই ব্যক্তি ও জাতিকে অন্ধ অনুসরণের মহাক্ষতি থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে কুরআন ও হাদীসের সে তথ্যগুলো একটু গুছিয়ে পুস্তিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
Title | : | অন্ধ অনুসরণ কুফুরী বা শিরক নয় কি? (গবেষণা সিরিজ - ২১) |
Author | : | প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান |
Publisher | : | কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন |
ISBN | : | 9789843513809 |
Edition | : | 5th Edition, 2023 |
Number of Pages | : | 72 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমানের জন্ম বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার আরজি-ডুমুরিয়া গ্রামের এক ধার্মিক পরিবারে। নিজ গ্রামের মাদ্রাসায় তাঁর শিক্ষা জীবন আরম্ভ। ছয় বছর মাদ্রাসায় পড়ার পর তাঁকে ডুমুরিয়া হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। ১৯৬৮ ও ১৯৭০ সালে তিনি যথাক্রমে ডুমুরিয়া হাইস্কুল ও সরকারী বি.এল কলেজ, দৌলতপুর, খুলনা থেকে কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি পাস করেন। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে MBBS পাস করেন। দ্বিতীয় ও ফাইনাল প্রফেশনাল MBBS পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ১০ম স্থান অধিকার করেন।
MBBS পাস করে তিনি সরকারি চাকুরীতে যোগ দেন এবং ১৯৭৯ সালে ইরাক সরকারের চাকুরী নিয়ে সেদেশে চলে যান। ৪ বছর ইরাকের জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চাকুরী করার পর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯৮৬ সালে গ্লাসগো রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ান্স এন্ড সার্জনস থেকে জেনারেল সার্জারিতে FRCS ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে কনসালট্যান্ট হিসেবে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রফেসর এবং সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ল্যাপারোসকোপ (Laparoscope) যন্ত্র দিয়ে একক হাতে (Single handed) পিত্তথলির পাথর (Gall Bladder Stone) অপারেশনে বাংলাদেশের
সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ সার্জন (Surgeon)।
প্রফেসর ডা. মো. মতিয়ার রহমান চিকিৎসক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দীর্ঘ দুই দশক ধরে কুরআন গবেষক হিসেবে ব্যাপক ও মৌলিক কাজ করে আসছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় হলো- ইসলামের সে সকল মূল বিষয়, যা সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের বক্তব্য এবং বর্তমান বিশ্বের মুসলিমদের জ্ঞান ও আমলের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান। ইতোমধ্যে তাঁর লেখা ৪২টি গবেষণাধর্মী পুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে। এসব পুস্তিকায় তিনি মুসলিম সমাজে প্রচলিত জ্ঞানগত ভুল ধারণার সংস্কার করে কুরআন, সুন্নাহ ও Common sense-এর আলোকে ইসলামের সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো 'আল কুরআন যুগের জ্ঞানের আলোকে অনুবাদ' এবং 'সনদ ও মতন সহীহ হাদীস সংকলন&
If you found any incorrect information please report us